মঙ্গলবারদুপুরে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা মহামারি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সরকার ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মঙ্গলবার থেকে পল্টন চায়না টাওয়ার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি বন্ধ করে দিয়েছে।
‘যেহেতু ঈদের আর মাত্র ৮/৯ দিন বাকি আছে। সেহেতু সব মার্কেট সমিতিকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি কোনো মার্কেট, দোকান বা শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় তার দায়িত্ব বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি বহন করবে না। ’
চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মার্কেটে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। দোকানদারদের মুখেও মাস্ক ছিল না। মার্কেটের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছিল না। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’–এর ব্যানার ছিল না। প্রবেশমুখে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ছিল না। এক গেট দিয়ে ঢুকে আরেক গেট দিয়ে বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। যে গেট দিয়ে ঢুকছে, আবার সেই গেট দিয়ে বেরও হচ্ছে। এসব কারণে মার্কেটটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কেট কর্তৃপক্ষ যদি এসব স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে মার্কেট খুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল যে চায়না টাউন মার্কেট স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সকালে ওই মার্কেটে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানার সত্যতা মেলে। তাই চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে সব মার্কেটকে কঠোর বার্তা দেওয়া হলো। কেউ যদি শর্ত পূরণ করতে না পারে, তাহলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা কঠিন সময় পার করছি। একক প্রচেষ্টায় নয়, সবাইকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।
তিনি বলেন, আমরা চাই মার্কেট খুলে দিতে। কারণ এতে ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজির বিষয় জড়িত। তবে স্বাস্থ্যবিধিটাও নিশ্চিত করতে হবে। তারা চেষ্টা করছে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার। যদি পারে তাহলে মার্কেট খুলে দেওয়া হবে। আমাদের একার পক্ষে দুই কোটি মানুষের এই শহরে সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই মিলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার কারণে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দোকানে ক্রেতা সাধারণের প্রচণ্ড চাপ বাড়ে। এতে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় আমরা ইতোমধ্যে সকাল ১০টা থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী রাত ১২টা পর্যন্ত ঈদের আগের এ কয়টা দিন দোকান খোলা রাখার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। সে অনুযায়ী সরকার ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার ব্যবস্থা নিলে ক্রেতারা কেনাকাটা করার জন্য বেশি সময় পাবে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সহজ হবে।