ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ আরও ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে

 : কোভিড-১৯ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে একই শর্ত রেখে সরকার আজ ভারতের সঙ্গে চলমান সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিনের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজ সন্ধ্যায় বাসসকে জানান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ২৫ এপ্রিল সরকারী এক সিদ্ধান্তে ২৬ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত মানুষের চলাচল ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়।
আজকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বন্ধ সম্পর্কিত পূর্ববর্তী সমস্ত শর্ত অপরিবর্তিত রেখে চলমান বন্ধ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগের বিবৃতি অনুযায়ী, ব্যতিক্রম হিসেবে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারতে ভ্রমণকারী এবং ১৫ দিনের কম মেয়াদের ভিসা ধারী বাংলাদেশী নাগরিকরা নয়াদিল্লী, কলকাতা এবং আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনের অনুমতি নিয়ে কেবল মাত্র বেনাপোল, আখাউরা এবং বুড়িমারি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
উপরোক্ত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তাদের প্রবেশের ৭২ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে করা একটি বাধ্যতামূলক কোভিড-নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এতে বলা হয়েছে, দেশে প্রবেশের পর তাদের অবশ্যই দুই সপ্তাহ সরকারীভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, উপরোক্ত তিনটি স্থলবন্দর ব্যতীত দুই দেশের মধ্যে অন্যান্য সব স্থলবন্দরের মাধ্যমে সব ধরনের মানুষ চলাচল দুই সপ্তাহের জন্য পুরোপুরি স্থগিত থাকবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য বহনকারী যানবাহনগুলোকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের আগে সঠিকভাবে স্যানিটাইজ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট চালক ও সহকারীকে কোভিড-১৯ সুরক্ষা প্রোটকল কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির জন্য রেলপথকে উৎসাহিত করা হবে।
নয়াদিল্লী, কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য পৌঁছে দেবে।

আন্তর্জাতিক জাতীয় শীর্ষ সংবাদ