বর্তমান করোনা মহামারিতে অনেক প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে ভারতের টাটা স্টিল কোম্পানি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অসাধারণ এক উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, টাটা স্টিলের পক্ষ থেকে করোনায় আক্রান্ত কর্মীর পরিবারের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়। গত রোববার দেওয়া ওই ঘোষণা অনুযায়ী, তাদের কোনো কর্মী যদি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তবে এ প্রকল্পের আওতায় তাঁর পরিবার নিয়মিত বেতন পাবেন। ওই কর্মী বেঁচে থাকলে যত দিনে তাঁর বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হতো, তত দিন পর্যন্ত বেতন পাবে তাঁর পরিবার। কর্মী বেঁচে থাকতে সর্বশেষ মাসে যে বেতন পেয়েছিলেন, সে পরিমাণ অর্থই প্রতি মাসে দেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া টাটা স্টিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘টাটা স্টিলের সবচেয়ে সেরা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পটি কর্মীর পরিবারের সম্মানজনক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। কর্মী মারা গেলে তাঁর পরিবার বা নমিনি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মীর সর্বশেষ বেতন তুলতে পারবেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কর্মীর পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা সুবিধা ও বাড়ির সুবিধাও পাবেন। এ ছাড়া সম্মুখসারির কোনো কর্মী যদি কর্মরত অবস্থায় আক্রান্ত হন ও মারা যান, তবে কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁর সন্তানদের স্নাতক সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করা হবে।
ওই প্রকল্পের ঘোষণার সময় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত কর্মীর পরিবারের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বিস্তৃত করে টাটা স্টিলের পক্ষ থেকে ‘হ্যাশট্যাগ এজিলিটি উইথ কেয়ার’ বা দ্রুততার সঙ্গে পরিচর্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।
টুইটারে টাটা স্টিলের পক্ষ থেকে সবার কাছে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘আমরা যেমন আমাদের কাজ করছি, সবাই যেন এই কঠিন সময়ে চারপাশের মানুষকে সাধ্যমতো সাহায্য করেন।’
এক টুইটার ব্যবহারকারী টাটা স্টিলের কর্ণধার রতন টাটার প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘করপোরেট দুনিয়াকে আরেকবার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য রতন টাটাকে ধন্যবাদ।’