নেতা কিম জং উনের নির্দেশে উত্তর কোরিয়ায় নিষ্ঠুরভাবে এক ব্যক্তিকে তার পরিবারের সামনে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সময় সেখানে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, ওই ব্যক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা এবং গানের ভিডিও বিক্রি করছিলেন বেআইনিভাবে। তার ডাকনাম লি। তাকে গ্যাঙওন প্রদেশের উনসান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ৪০ দিন পরে ৫০০ মানুষের উপস্থিতিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ডেইলি এনকে’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, নিহত লি ছিলেন উনসান ফার্মিং ম্যানেজমেন্ট কমিশনের প্রধান প্রকৌশলী।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ভিডিওর বাণিজ্য করে সমাজবিরোধী কাজ করছিলেন বলে কর্র্তৃপক্ষ অভিযোগ তোলে। তিনি গোপনে ওইসব সিনেমার ভিডিও এবং গান বিক্রিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে সেখানে জোরপূর্বক উপস্থিত করা হয় তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে। তাদেরকে দর্শকদের সামনের সারিতে অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়। উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ সমাজ বিরোধী কর্মকা-ের অভিযোগ ওই প্রদেশে এটাই প্রথম কাউকে মৃত্যুদ- দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র বলেছে, হত্যা করার পরে লি’র দেহ একটি ছালার বস্তায় জড়িয়ে একটি বক্সে তোলা হয়। তারপর দূরে কোথাও নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। ওই সূত্রগুলো বলেছেন, লি’র মৃতদেহ যখন চারজন নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেয়, তখন অচেতন হয়ে পড়েন লি’র স্ত্রী। এ অবস্থায়ই তাকে লাগেজের মতো করে একটি ভ্যানে ছুড়ে মারে তারা। লি’র পরিবারের সদস্যদের এ সময় মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়। কাঁদতে চাইলে নীরবে কাঁদতে বলা হয়। এ অবস্থা দেখে তার প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযোগ স্বীকার করেছেন লি। তিনি জানিয়েছেন সিডি এবং ইউএসবি বিক্রি করতেন। তার কাছ থেকে এগুলো ৫ থেকে ১২ ডলারে কিনে নিতো লোকজন। যারা এসব কিনেছে কর্তৃপক্ষ এখন তাদেরকে খুঁজছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গান ও ছবি বিক্রির অভিযোগে বিচার করা হয়েছে আরো ২০ জনের। সূত্র বলেছেন, যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে কাউকে দেখা যায় যে, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো ভিডিও দেখছেন, তাহলে তাকে হয়তো যাবজ্জীবন জেল বা মৃত্যুদ- দেয়া হবে। কেউ জানে না কাকে এরপর মৃত্যুদ- দেয়া হবে।