সাক্ষাৎকার: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঋণ দিতে ভালো গ্রাহক খুঁজছিমার্কেন্টাইল ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ২ জুন। আজ ২২ বছর পূর্ণ করছে বেসরকারি খাতের এই ব্যাংক। এ উপলক্ষে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সানাউল্লাহ সাকিব

সাক্ষাৎকার: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঋণ দিতে ভালো গ্রাহক খুঁজছিমার্কেন্টাইল ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ২ জুন। আজ ২২ বছর পূর্ণ করছে বেসরকারি খাতের এই ব্যাংক। এ উপলক্ষে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সানাউল্লাহ সাকিব

প্রথম আলো: এক বছর ধরে করোনা চলছে। সময়টা কেমন কাটল?

কামরুল ইসলাম চৌধুরী: সারা বিশ্বই অস্থির সময় পার করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশ এখনো ভালো আছে। ব্যাংক খাতের মাধ্যমে প্রণোদনার ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ব্যাংকগুলো ভালো অবস্থায় রয়েছে। আশা করি, তারা সামনের দিনেও বড় কোনো সমস্যায় পড়বে না। করোনা কমে এলে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়বে। উদ্যোক্তারা আবার নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করবেন।

প্রথম আলো: সুদহার কমার পরও ব্যাংকের তারল্য বাড়ছে। কেন এমন পরিস্থিতি হলো?

কামরুল ইসলাম চৌধুরী: করোনার মধ্যেও প্রচুর আমানত আসায় ও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ বিতরণের পরিমাণ কমায় ব্যাংকগুলোর হাতে তারল্য বেড়েছে। এর বিপরীতে ব্যক্তি খাতের ঋণ যেমন কমেছে, তেমনি সরকারও ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। ট্রেজারি বিল-বন্ডের বিপরীতে আয়ের পরিমাণ কমেছে। আবার ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে গেছে কিছু ব্যাংক। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে ব্যাংকগুলো আবার ঋণ বিতরণ শুরু করবে। তখন সরকারের ঋণের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যাংকে যে তারল্য জমেছে, সেই অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমানতের সুদহারও বাড়বে। এরই মধ্যে আমরা নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব পাচ্ছি। এখন ঋণ দেওয়ার কথা চিন্তা করছি।

প্রথম আলো: ২২ বছর গ্রাহকদের সেবায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক কোন ধরনের গ্রাহককে বেশি ঋণ দিয়েছে? ছোটদের ঋণ এত কম কেন?

কামরুল ইসলাম চৌধুরী: আমরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকেই সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছি। এর মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক খাতের। এ ছাড়া কৃষি, সিএমএসএমই খাতে লক্ষ্য অনুযায়ী ঋণ দিয়েছি। একসময় জাপানে একটা প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে উদ্যোক্তা নির্বাচন করাটা শিখেছি, যখন কেউ ব্যবসা শুরু করে তখন তা নিজের অর্থেই করে। যখন ব্যবসা বাড়ে, মুনাফা হয়, তখন ব্যাংকের কাছে যায়। জাপানের প্যানাসনিকের মতো কোম্পানিও এভাবেই নিজেদের অর্থে যাত্রা শুরু করেছিল। আমাদের দেশেও তা–ই হতে পারে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে যাদের নিজস্ব উদ্যোগ আছে, ব্যবসা ভালো চলছে, তাদেরই ব্যাংকঋণ দেয়। কারণ, আমরা গ্রাহকের আমানতের টাকাই ঋণ দিই। ফেরত আসবে এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই তা দেওয়া হয়। তবে বাস্তবতা হলো, ছোটদের মধ্যে ভালো উদ্যোক্তা পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ঋণ দেওয়ার জন্য ভালো গ্রাহক খুঁজছি। গ্রাহকের অধিকার সবার আগে।

প্রথম আলো: গ্রাহকসেবা বাড়াতে মার্কেন্টাইল ব্যাংক কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

কামরুল ইসলাম চৌধুরী: রেইনবো নামে নতুন অ্যাপস চালু করছি। এর মাধ্যমে ঘরে বসে সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। এর ফলে সেবা নিতে গ্রাহকদের ব্যাংকে আসতে হবে না। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ যেন না বাড়ে, এ জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঋণ আদায়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রণোদনার ঋণের কিস্তি আদায় শুরু হয়েছে। গ্রাহকেরা টাকা ফেরত দিতে শুরু করছেন।

আমরা ১৫০টি শাখা, ১০৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও ৪৫টি ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ