বিশ্ব ২০২০ সালটা শুরু করেছে চীনে নতুন একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সে খবর শুনে। ধীরে ধীরে এ ভাইরাস মহামারিতে রূপ নেয়।
চীনে তাণ্ডব চালিয়ে ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ইউরোপের সব দেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।
এর পর এ মহামারি ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘কঙ্কাল রূপ’ বের হয়ে আসতে থাকে একে একে।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনা সামাল দিতে বেগ পেতে হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় চলতি বছর ইতোমধ্যে পদ হারিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আট স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন রোডল্ফো ফারফান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— টিকাকরণের ক্ষেত্রে তিনি স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়েছেন। পদত্যাগের মাসতিনেক আগেই ওই পদে বসেছিলেন রোডল্ফো।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় পদত্যাগ করেছিলেন অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোডল্ফো অ্যান্সচোবার।
ইরাকের একটি কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ গেছে ৮০ জনের। এ ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-তামিমি।
টিকাকরণ কর্মসূচিতে অসঙ্গতি প্রকাশ্যে আসতেই পদত্যাগ করেন আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিনেস গোলজালেস গার্সিয়া।
সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ছয় কোভিড রোগীর মৃত্যু হওয়ায় চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে হয় জর্ডানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।
টিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ জোরালো হতেই ইস্তফা দিতে হয় পেরুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।
রুশ টিকা স্পুটনিক ভি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করায় শরিক দলের চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন স্লোভাকিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে মা ও তার সদ্যোজাতের মৃত্যু হওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গোটা মন্ত্রিসভাই পদত্যাগ করেছিল মঙ্গোলিয়ায়।
গত বছর কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল ও চেক প্রজাতন্ত্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছিলেন।