আমার জীবনে ওটাই সেরা গোল: রোনালদো

আমার জীবনে ওটাই সেরা গোল: রোনালদো

বাংলাদেশের ফুটবল দর্শক মেসি এবং নেইমারকে যতই ভালোবাসুক, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতি আলাদা ভালোবাসা আছে। সারা দুনিয়ায় এটা আছে। রোনালদোর প্রতি একটা টান আছে। রোনালদোর খেলায় স্বাদ পান দর্শক। এই ফুটবলার ভালো করেই জানেন, মেসি-নেইমারদের ছাপিয়ে দর্শক ভালোবাসাটা আদায় করে নিতে হবে। তাই অনুশীলন মাঠেও বাড়তি শ্রম ঢেলে দেন তিনি।

একটি টুইট বার্তায় জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সিআরসেভেন। এই পর্তুগিজ তারকা লিখেছেন—ফুটবল মাঠে আমার শরীরটাই হচ্ছে আমার অস্ত্র। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদেরকে সব সময় বলা হয় ভালো খাবে, ভালো প্রশিক্ষণ নেবে। তাহলে দীর্ঘদিন ভালো খেলা যাবে। একজন পেশাদার ফুটবলার সেটাই করে থাকেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এই সবের পাশাপাশি একজন খেলোয়াড়ের রিকভারিটাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কঠোর অনুশীলনের পর সঠিক বিশ্রাম আমাকে ভালো খেলতে সহায়তা করে। এ কারণে কঠোর অনুশীলনের পর আমার বিশ্রামের জন্য আলাদা পরিকল্পনাও থাকে। জুভেন্তাসে সিআরসেভেন মৌসুমটা ভালো কেটেছে। এবার ইউরো কাপে পর্তুগালের হয়ে ট্রফি ধরে রাখতে মরিয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরই মধ্যে সিআরসেভেন প্রস্তুতি শুরু করেছেন। সেই ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের যত্নের ছবিগুলো আলোচনায় এসেছে।

মেসির গোলে এগিয়েও পয়েন্ট হারালো আর্জেন্টিনা

ফুটবলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রচুর গোল করেছেন তিনি। তার সেরা গোলটি তুলে আনতে গেলে বিশেষজ্ঞ বা সমর্থকদের মধ্যে তর্ক হবেই। যুক্তি-তর্কের কথা বাদ দিয়ে যদি রোনালদোকে প্রশ্ন করা হয় তার প্রিয় গোল কোনটি। হতে পারে ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে বাইসাইকেল কিকে করা সেই গোল, যা দেখে গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছিল।

রোনালদো বললেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আমি এখন পর্যন্ত ৭৭৭টি গোল করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, আমার প্রিয় গোলটি এখন আমি যে দলে খেলি, সেই জুভেন্তাসের বিরুদ্ধেই করা। আমার বন্ধু গোলকিপার বুফনের বিরুদ্ধে গোলটা করেছিলাম। আমার জীবনে সেরা গোল ওটাই।’

প্রিয় ট্রফি হিসেবে রোনালদো বেছে নিয়েছেন ইউরো কাপকেই। বলেছেন, ‘২০১৬’র সেই ইউরো কাপের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে আমি চোট পেয়েছিলাম। কিন্তু ম্যাচের পর আনন্দের চোটে কাঁদছিলাম। তবে দিনের শেষে একটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি হচ্ছিল! আমার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি ইউরোই।’

খেলাধূলা