কাজের বাজার এখনই ঠিক হওয়ার সুযোগ নেই। আরো মানুষ চাকরি হারাবেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাজের বাজারে করোনার প্রভাব থাকবে। কাজ হারাবেন আরো বহু মানুষ। কমবে কর্মসংস্থান। বাড়বে দারিদ্র্য। বুধবার এমনই এক রিপোর্ট পেশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন। গোটা পৃথিবীর যে চিত্র তাদের রিপোর্টে ফুটে উঠেছে তা যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ।
২০১৯ সালের শেষ পর্ব থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হয়। ২০২০ সালের গোড়ায় তা ব্যাপক চেহারা নেয়। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তখন থেকেই কাজের বাজারে মন্দা শুরু হয়েছিল। ইউরোপ, অ্যামেরিকা সহ গোটা পৃথিবীতেই মানুষ কাজ হারাতে শুরু করেন। বিশেষত যারা দিন মজুরের কাজ করেন, তারা সবার আগে কাজ হারান। বেসরকারি ক্ষেত্রে এবং কর্পোরেট সেক্টরেও বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের যেখানে কাজ হারিয়েছিলেন ১৮৭ মিলিয়ন মানুষ, সেখানে ২০২২ সালে ২০৫ মিলিয়ন মানুষ কাজ হারাবেন। ২০২০ এবং ২০২১ সালে সংখ্যাটি এর চেয়ে অনেক বেশি।
জাতিসংঘের ধারণা, ২০২৩ সালের আগে বাজার চাঙ্গা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, ওই সময় পর্যন্ত নতুন চাকরির বাজার তৈরি হবে না। হার কমলেও, চাকরি হারাতেই থাকবেন অসংখ্য মানুষ। বাড়বে বেকারত্ব। এবং একই সঙ্গে বাড়বে দারিদ্র্য।
জাতিসংঘের আশঙ্কা, দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যাবেন বহু মানুষ। তাদেরকে ফের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে বহু সময় লেগে যাবে। কারণ, গত কয়েক বছরে যে নতুন চাকরির বাজার তৈরি হয়েছিল, অতিমারির কারণে তা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। প্রচুর ছোট ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তা আবার গড়ে ওঠা কঠিন।
ডিডাব্লিউয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের প্রধান। সেখানে তিনি বলেছেন, এক ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। কাজের বাজার অনেকটা পিছিয়ে গেছে। সেখান থেকে তাকে টেনে তুলতে অনেক বছর লেগে যাবে। এর ফলে একদিকে দারিদ্র্য বাড়বে, অন্যদিকে বাড়বে হতাশা। যার জেরে গৃহঅশান্তি, মেয়েদের উপর অত্যাচারের পরিমাণও বেড়ে যাবে।