চলতি মৌসুমের প্রথমবারের মতো রাজধানীতে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল তীব্র বজ্রঝড়।
অতিভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানীর কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, শনিবার (৫ জুন) ঢাকায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটাই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, যার মাত্রা ছিল ১২৪ মিলিমিটার। এদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বদীতে, এর মাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরােও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।
এ অবস্থায় রোববার (৬ জুন) ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে ফরিদপুর, গােপালগঞ্জ, দিনাজপুর ও নীলফামারী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৌসুমের অষ্টম তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় আট থেকে ১২ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
সোমবার (৭ জুন) নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কমবে।