সকাল থেকেই এ যানজট সৃষ্টি হয়।
ট্রাফিক পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় এবং বৃষ্টির কারণে গত কয়েক দিন ধরেই গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গীব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। শত শত গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী। পুরো মহাসড়কেই পানি আর কাদা। কাপড় নোংরা না করে হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। সময় মতো কোনো মানুষ পৌঁছাতে পারছেন না গন্তব্যস্থলে। মহাসড়কটিতে আধাঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৩/৪ ঘণ্টা। প্রায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শিল্পনগরীর হাজার হাজার অফিসগামী মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে কাপড় ও জুতা নষ্ট করে পায়ে হেঁটে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে গন্তব্যস্থলে। এছাড়া উল্টো পথে চলাচল করছে যানবাহন ও অতিরিক্ত অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে যানজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
শহিদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, সকালে তিনি ময়মনসিংহ থেকে আলম এশিয়া পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস এসে পৌঁছায়। পরে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত যানজটের ভয়ে চালক বাস নিয়ে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা, জিরানি, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুল্লাহপুর এসে পৌঁছায়।
বাসযাত্রী শামসুল আলম জানান, উত্তরা যাওয়ার জন্য গাজীপুরের ভোগড়া থেকে বাসে উঠি। টঙ্গীব্রিজ পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টার বেশি। পুরো মহাসড়কেই কাদা আর পানি। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। অনেক ভোগান্তি সহ্য করা যায়, কিন্তু যানজটের ভোগান্তির সহ্য করার মতো না। গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। যাতে বৃষ্টি এলেও পানি মহাসড়কে আটকে না থাকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান জানান, বিআরটি প্রজেক্টের কাজ চলমান থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। এতে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পাররে না। এ কারণে সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ চেষ্টা করছে।