নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশ জানায়, সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ১০২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। সেখান থেকেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বাছির ও মশিউর। উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অমি, বাছির, মশিউরসহ পাঁচজনকে আসামি করে পাসপোর্ট আইনে মামলা করেছে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জব্দ করা পাসপোর্টগুলো বিভিন্ন নারী-পুরুষের। তাঁরা কারা, তাঁদের পাসপোর্ট রিক্রুটিং এজেন্সিতে কেন, এগুলো বৈধ নাকি অবৈধভাবে রাখা হয়েছে—এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রাভেল এজেন্সির বৈধ লাইসেন্স আছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. শামীম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
পরীমনির করা মামলার আসামিদের মধ্যে দুজন—নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ইয়াবা ও মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় করা মামলায় নাসির ও অমির সাত দিনের রিমান্ড এবং গ্রেপ্তার তিন নারীকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) নিবানা খায়ের জেসি এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় পরীমনি বাদী হয়ে গত সোমবার নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত করে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত এ আদেশ দেন। এজাহারভুক্ত দুই আসামি ব্যবসায়ী নাসির ও অমিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে সাভার থানার পুলিশ। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।