গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও জনস্বার্থ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন – বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মাধ্যমে জানতে পারলাম তুরাগ নদীর তীরে ঢাকা বোট ক্লাবের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ২০২০ সালের শুরুর দিকে। জমি লিজের কোনো কাগজপত্র ছাড়াই জোর করেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ঢাকা বোট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। মদ খেয়ে ফুর্তি করার জন্য বেশ কয়েকটি কক্ষ রয়েছে বোট ক্লাবে। এছাড়া এ ক্লাবে সদস্য ছাড়াও মদ কিনতে পারেন বহিরাগতরাও।ঢাকা বোট ক্লাবটি মূলত তিন তলা একটি স্থাপনা। যার নিচ তলায় রয়েছে বসার জায়গা আর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মদের বার। আর তৃতীয় তলায় রয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য রুম ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা। যেখানে অবৈধ কার্যকলাপ চলার অভিযোগ সাধারণ মহলে দীর্ঘদিনের। নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ ঢাকা বোর্ড ক্লাবসহ সকল অবৈধ স্থাপনাকে ভেঙে ফেলতে হবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশ দিয়ে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু নদী, মেঘনা নদী প্রবাহিত। স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রত্যেকটি নদী দখলে দূষণে জর্জরিত। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরাগ নদী। তুরাগ নদীর চারপাশ দিয়ে শিল্প কলকারখানা ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ফলে নদী হয়েছে সংকুচিত। নদীর জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় স্থাপনা। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকা বোট ক্লাব। যদিও ঢাকা বোট ক্লাবের জায়গাটি অন্য ব্যক্তির লিজের জায়গায় জোর করে গড়ে তোলা। ঢাকা শহরের চারপাশের নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণ করার বিষয়টি অমীমাংসিত। বিআইডব্লিউটিএ নদীর যে সীমানা পিলার গুলো নির্ধারণ করেছে তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ এবং দুর্নীতিতে ভরা।দেশের জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনতিবিলম্বে ঢাকা বোট ক্লাব ভেঙ্গে ফেলার দাবি জানাচ্ছি।