‘অভিযোগ পেলে পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

‘অভিযোগ পেলে পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, কমিউনিটি ক্লাবের ঘটনাটি আমাদের গুলশান টিমের এলাকায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি মঙ্গলবার গভীর রাতে পরীমনি ওই ক্লাবে গিয়েছেন। ৯৯৯-এর একটি ফোনে সেখানকার ঘটনাটি জানতে পারে পুলিশ। তবে পরবর্তীতে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। একটি মামলা হয়েছে ঢাকা জেলাতে। যেহেতু মামলাগুলো চলমান, পরীমনি অবশ্যই প্রয়োজনে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আসবে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শেষে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা যাবে।

প্রসঙ্গত, চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর চালোনোর অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার আগের রাত ৭ জুন পরীমণি ও তার বন্ধুরা ওই ক্লাবে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ ক্লাব কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গণমাধ্যমকে বলেন, ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯–এর একটি কলে গুলশান থানা-পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা কাটাকাটির জেরে ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন পরীমনি। পরে আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। আমরা (পুলিশ) ক্লাবে আবারও পরিদর্শনে যাব।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পরীমনি বলেন, ‘এটা ফালতু একটা অভিযোগ। এত দিন পরে কেন এই অভিযোগ?’

জানা গেছে, গুলশান-২ এলাকার অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে গুলশান থানায় এ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। তবে এ বিষয়ে অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুন (মঙ্গলবার) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পরীমণির। রোববার (১৩ জুন) রাতে প্রথমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে। নাসির ও পরীমণির বন্ধু অমিসহ ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ মামলায় বুধবার নাসির উদ্দিনসহ দুই জনের সাত দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।

অপরাধ বিনোদন