ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলা উচ্চ আদালতের পরিধি বেড়ে আজ রোববার (২০ জুন) থেকে ৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকার্য পরিচালিত হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০ জুন থেকে শুধু ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এই ৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দেন। যেখানে ৩৪ টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৯ টি একক বেঞ্চ রয়েছে। সপ্তাহে ৫ দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ও ৩ দিন চেম্বার আদালত চলমান রয়েছে।
গত বছর দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে আদালতগুলোতে টানা সাধারণ ছুটি চলার এক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
পরবর্তীকালে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সে অধ্যাদেশ জারির পর গত বছরের ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা শুরু হয়।
প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীসময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এরপর ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিততে আদালতের কার্যক্রম চলে। পরে আবার দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয়।
একপর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বার আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলে। এসময় সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন আপিল বিভাগ, ২ দিন চেম্বার আদালত এবং পর্যায়ক্রমে ১৬ টি হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
গত ১ জুন থেকে সপ্তাহে ৫ দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ, ৩ দিন চেম্বার আদালত ও ২১ টি হাইকোর্ট বেঞ্চে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।