গাজীপুর শহর এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে অসহনীয় যানজটের কারণে গাজীপুর থেকে উত্তরা যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যেত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সকাল ছয়টায় রওনা হয়ে নয়টায় অফিসে যেতে পারিনি। আজ সকালে ট্রেন পেয়ে দ্রুত ঢাকার বনানী চলে এসেছি।’
রেলওয়ের উপপরিচালক রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহাসড়কে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীচাহিদা বিবেচনায় দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তুরাগ এক্সপ্রেস ১, ২, ৩ ও ৪, টাঙ্গাইল কমিউটার ১ ও ২ ট্রেন ২০ জুন থেকে চলবে। মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করে ট্রেন পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে গাজীপুর হয়ে দেশের ৩৭টি জেলার মানুষ চলাচল করে। ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করতে ২০১২ সালে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত দেশে প্রথমবারের মতো বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সঠিক সময়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে না পারা, মহাসড়কে খানাখন্দ, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় সৃষ্ট যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়। এতে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে সীমাহীন। এ নিয়ে ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।
গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুর যাওয়ার সব বিকল্প রাস্তায় একসঙ্গে কাজ চলমান থাকায় ওই রাস্তাগুলো যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন না। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। এই দুর্ভোগের হাত থেকে মানুষকে স্বস্তি দিতে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে গাজীপুর-টঙ্গী হয়ে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশনমাস্টার মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ সকালে তুরাগ এক্সপ্রেস ও টাঙ্গাইল কমিউটার ছেড়ে গেছে। বিকেলে কালিয়াকৈর কমিউটার চলবে। এ ছাড়া সাধারণ দিনে যেসব ট্রেন চলাচল করত, সেগুলো চলাচল অব্যাহত রয়েছে।