প্রথম ধাপের ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।আজ সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এর আগে, নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইসি সবার সহযোগিতা চেয়েছে।
একইসঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগেরও অনুরোধ করেছে ইসি।
প্রথম ধাপে ইসি ৩৬৭টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও পরে করোনা প্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। এ ধাপে মাত্র ২০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হচ্ছে। বাকি ১৮৪টিতে প্রথাগত ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৫৯ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী দুই হাজার ১৫৪ জন এবং সাধারণ সদস্য আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয় হাজার ৯৬০ জন। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন।
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮৩৬টি। আর মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬০টি। এই নির্বাচনে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং হিসেবে কাজ করবেন।
নির্বাচনে মোবাইল পুলিশের সদস্য থাকবেন ২০৪ জন, স্ট্রাইকিং পুলিশ ৭৪ জন। র্যাবের ১২৪টি টিম, বিজিবি ১২৩টি প্লাটুনসহ মোট ৫০৮৮টি ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
অন্যদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৯৩ জন এবং ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সংখ্যা ১২ হাজার ২০৭ জন। আর পোলিং অফিসারের সংখ্যা ২০ হাজার ৫২০ জন।