করোনায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩৩৪

করোনায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩৩৪

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৫৩ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৮ জনে। মৃত ৭৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন ও ২৯ জন নারী।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮৫৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৫৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৪৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ২৬২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৮১টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে ১৯ জন, সিলেট বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে চারজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১ হাজার ৮৯০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ১৫৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৯ হাজার ১৫৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য