দেশে পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি!

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি!

দেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার আগের বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ। এ সংখ্যার আলোকে পরিসংখ্যানের আনুপাতিক হিসাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক।

জরিপে আরও দেখা গেছে, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৮২ লাখ।  এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। নারী ৮ কোটি ৪০ লাখ। দেশে এখন খানার গড় আকার ৪ দশমিক ৩ জন। খাওয়ার পানির ব্যবহার করছে ৯৮.৩ শতাংশ মানুষ। টয়লেট সুবিধা আছে ৮১.৫ শতাংশ।

মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস জরিপের ফল প্রকাশ করেন প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বাড়েনি। নমুনা এলাকায় এই হার ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় মহিলারা ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে। অন্যদিকে গ্রামে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ মহিলা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেড়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ সহজেই চিকিৎসা নিতে পারছেন। তাছাড়া খাদ্যগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে। পুষ্টিগ্রহণের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে গড় আয়ু বেড়েছে।

Others শীর্ষ সংবাদ