করোনার বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’। সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। কিন্তু শিল্পকারখানা চালু থাকায় এবং সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত খোলা থাকায় সকালেই রাস্তায় বের হয়ে বিপাকে পড়েন চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ।
গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিওকলোনী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার অপেক্ষারত শ্রমিকরা। গণপরিবহন সংকটে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। রিকশা চললেও ভাড়া হাঁকছে তিনগুণ থেকে চারগুণ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটে রওনা হন অফিসে।
সোমবার ( ২৮ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ক্যান্সার রোগী রোজিনা বেগমের সঙ্গে কথা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ছুটছে তিন চাকার যানগুলো।
রোজিনা জানান, তার স্বামী সুতার ছোট ব্যবসায়ী। তার ব্রেস্ট ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত বিএসএমএমইউতে আসতে হয়। সকালে বিএসএমএমইউ থেকে চিকিৎসা শেষে রিকশায় গুলিস্তান আসেন এবং সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সাইনবোর্ড।
সাইনবোর্ড থেকে যে অটোতে উঠেছেন, সেটি ভুলতা-গাউছিয়া পর্যন্ত যাবে। এরপর সেখান থেকে আবার গাড়ি বদলে নরসিংদীর পথ ধরবেন তিনি।