দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ৫৫০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। করোনাকালে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করবে বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন ঋণ চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন। এই ঋণ দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি বিনির্মাণে সহায়তা করবে বলে ঋণচুক্তি অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, এ অর্থের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সহায়তার পাশাপাশি দরিদ্র ও চরম দরিদ্র মানুষের দক্ষতা বিকাশের উন্নয়ন ঘটবে। দ্যা রেজিলেন্স, ইন্টারপ্রিনারশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ডেল্টাপ্ল্যান ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই ঋণ সহায়তা করবে। ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিতে এই ঋণ ভূমিকা রাখবে। করোনা সংকটে দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতেই ঋণ চুক্তি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ঋণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কীভাবে জলবায়ু মোকাবিলা করে টিকে থাকা যায় এবং অর্থনীতি সচল রাখা যায়, এ বিষয়ে বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ১২০টি ক্লাইমেট রেজিলেন্স অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।