আগামী মাস কয়েকের মধ্যে ‘ডেলটা’ হবে করোনার মূল ভ্যারিয়েন্ট। যার ফলে ভারকে পাওয়া এই ধরণই বেশি প্রাধান্য পাবে। বৃহস্পতিবার করোনা সম্পর্কে নতুন সতর্কতা জারির সময় এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও বলছে, ‘ডেলটা’ করোনার একটি অতি সংক্রামক ধরন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে করোনার ‘ডেলটা’ ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, বিশ্বের ৯৬টি দেশ করোনার ডেলটা ধরন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। তার মধ্যে কিছু দেশে করোনার ডেলটা ধরন থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, ডেলটার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই ধরনটি করোনার অন্য সব ধরনকে দ্রুত ছাপিয়ে যেতে পারে। আর এভাবেই আগামী মাস কয়েকের মধ্যে ডেলটা করোনার প্রধান ধরন হয়ে উঠতে পারে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় যেসব হাতিয়ার এখন পর্যন্ত বিশ্বে বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলোই ডেলটার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তবে যেহেতু বিশ্বে ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে, তাই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত রাখার দরকার পড়তে পারে বলে মনে করছে ডব্লিউএইচও। ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস গত সপ্তাহে বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত শনাক্ত করোনার ধরনগুলোর মধ্যে ডেলটা সবচেয়ে সংক্রামক। যারা টিকা নেয়নি—এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেলটা ধরন দ্রুত ছড়াচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘ডেলটা নিয়ে বিশ্বে বর্তমানে অনেক উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও উদ্বিগ্ন।’
করোনার ডেলটা ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ভারতে। গত বছরের অক্টোবরে এই ধরনটি শনাক্ত হয়। করোনার এই ধরনটি অতি সংক্রামক। ডেলটা দ্রুত একজনের কাছ থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত এ ধরনের কারণেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সংক্রমণের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশটি। সূত্র: এনডিটিভি।