অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি মোবাইল ফোন চুরি সংক্রান্ত অপরাধ কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে এনইআইআর চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবাটি চালু করেছে দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নতুন এ পদ্ধতিতে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত বা নকল আইএমইআই নম্বর চিহ্নিত করা যাবে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) উদ্যোগে এই ডাটাবেজ নির্মিত হয়েছে।
আপনার মোবাইল ফোনটি অবৈধ কিনা তা যাচাই করতে প্রথমে হ্যান্ডসেটটির আইএমইআই বের করতে হবে। এটি আপনি মোবাইল ফোনের সঙ্গে থাকা প্যাকেটে বা সেটের কাভার বা ব্যাটারি খুললে পাবেন।
এভাবে না পাওয়া গেলে *#০৬# ডায়াল করুন। ডায়াল করতে কোনো খরচ হবে না। এটি ডায়াল করলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর দেখতে পাবেন। পরবর্তী ব্যবহারের জন্য নম্বরটি লিখে রাখুন। চলুন জেনে নেয়া যাক কি করে যাচাই করবেন।
হ্যান্ডসেট ক্রয় বা বিক্রয়ের পূর্বে গ্রাহকের করণীয়-
১ জুলাই হতে যে কোন মাধ্যমে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে নিম্ন বর্ণিত উপায়ে বৈধতা যাচাই করার পাশাপাশি ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
ধাপ-১: মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখুন। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345
ধাপ-২: IMEI নম্বরটি লিখার পর ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণ করুন।
ধাপ-৩: ফিরতি ম্যাসেজ এর মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা অথবা উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেট এবং অন্যান্য যে সকল হ্যান্ডসেটর তথ্য এনইআইআর এ পাওয়া যাবে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল করে দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য/দলিল দিয়ে নিবন্ধন করতে এসএমএস দেয়া হবে। উক্ত সময়ে যথাযথ নিবন্ধন করলে হ্যান্ডসেটটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।