করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাত দিনের লকডাউন চলছে। রোববার (৪ জুলাই) লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ পরিপালন নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সকালে রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার সড়কে রিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, পণ্য পরিবহনের গাড়ির চাপ গত তিন দিনের চেয়ে বেশি। সকাল থেকেই হচ্ছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যেই এসব এলাকার অলিগলিতেও সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে, রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। কাঁচাবাজার ও জনসমাগম হওয়ার স্থানগুলোতে পুলিশি টহল জারি রয়েছে। একইসঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য খিলগাঁও থানার পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত খিলগাঁও থানা পুলিশ মাস্ক না পরে ঘোরাঘুরি জন্য ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মো. আতাউর গণমাধ্যমে বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছে। টহল চলাকালীন সময়ে আমরা বেশ কয়েকজনকে মাস্ক ছাড়া ঘুরতে দেখেছি। লকডাউনের এই সময় মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি করার জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা যথাযথভাবে কাজ করছি।’
খিলগাঁও, মৌচাক, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রতিটি চেকপোস্টে ১০ থেকে ১৫ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন চেকপোস্ট ঘুরে ঘুরে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। বাড্ডা এলাকায় দায়িত্বরত বাড্ডা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘সকাল থেকে বাড্ডা এলাকায় সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’