Ongoing lockdown extended till July 14
The government has extended the ongoing lockdown till midnight of July 14 by enhancing more seven days from July 7, said a cabinet division release here today. “The ongoing curb has been extended till July…
The government has extended the ongoing lockdown till midnight of July 14 by enhancing more seven days from July 7, said a cabinet division release here today. “The ongoing curb has been extended till July…
– Bangladesh today recorded 164 novel coronavirus (COVID-19) deaths and 9,964 positive cases in the past 24 hours, the highest number in a single day in terms of both fatality and infection since the pandemic…
এমরানুল হক। দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দায়িত্ব পালনের পর ২৪ বছর আগে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ব্যাংকটিতে। ঢাকা ব্যাংকের নানা দিক নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাছান আদনান আজ ২৬ বছর পূর্ণ করল ঢাকা ব্যাংক। দীর্ঘ এ পদচলায় ব্যাংকটির অর্জন সম্পর্কে জানতে চাই। একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যোক্তার হাত ধরে ১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের যাত্রা। সে হিসেবে আজ ২৬ বছর পূর্ণ হলো এ ব্যাংকের। যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যই সুনামের সঙ্গে ২৬ বছরের পথচলা একটি বড় অর্জন। ঢাকা ব্যাংকের বয়স ও এ ব্যাংকে আমার কর্মজীবন প্রায় সমান। ২৪ বছর ধরে ঢাকা ব্যাংকের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি পরিচিত। তাই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ঢাকা ব্যাংক একটি পরিচ্ছন্ন ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতিটি ধাপে ব্যাংকটি ভূমিকা রেখেছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালন ভঙ্গি হলো রক্ষণাত্মক। চমক সৃষ্টির জন্য আমরা কখনই আগ্রাসী ভূমিকায় যাইনি। তাই দীর্ঘ পথচলায় ঢাকা ব্যাংকের বড় কোনো উত্থান-পতন নেই। এ সময়ে আমরা ক্রমাগত উন্নতির পথেই চলেছি। গত দুই দশকে দেশের ব্যাংক খাত নানা ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে ঢাকা ব্যাংকের কোনো দুর্নাম নেই। কোনো কর্মকাণ্ড নিয়ে কখনো বিতর্কের কথাও শোনা যায়নি। দেশী-বিদেশী স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তার স্বীকৃতিও পেয়েছি। বাজারে এখন ঢাকা ব্যাংক একটি উজ্জ্বল ব্র্যান্ডের নাম। ২৬ বছরে ঢাকা ব্যাংকের সম্প্রসারণ কতটুকু? ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ঢাকা ব্যাংকের যাত্রা হয়েছিল। বর্তমানে এ মূলধন বেড়ে ৮৯৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের কাছে সুরক্ষিত আছে গ্রাহকদের ২০ হাজার কোটি টাকার আমানত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা ব্যাংক এখন ৩০ হাজার কোটি টাকা সম্পদের একটি প্রতিষ্ঠান। দুটি ইসলামী ব্যাংকিং শাখাসহ এখন পর্যন্ত ঢাকা ব্যাংকের শাখা সংখ্যা ১০৫। এসব শাখার পাশাপাশি তিনটি এসএমই সেন্টার ও ৬৮টি এটিএম বুথ, ২০টি এডিএম ও দুটি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট নিয়ে ঢাকা ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের রয়েছে ছয়টি শাখা। ব্যাংকের পরিধি বড় করতে আপনাদের পরিকল্পনা কী? ঢাকা ব্যাংকের মূলধন সক্ষমতা বাড়াতে আমরা এরই মধ্যে ৪০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছি। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে তার অনুমোদনও পেয়েছি। ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মূলধন বাড়ানো হচ্ছে। মানসম্মত করপোরেট বিনিয়োগে বাজারে ঢাকা ব্যাংকের যথেষ্ট সুনাম আছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এশিয়ামানি বাংলাদেশের ‘বেস্ট করপোরেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক-২০২১’ হিসেবে ঢাকা ব্যাংককে স্বীকৃতি দিয়েছে। করোনা মহামারীর এ দুঃসময়ে এটি আমাদের বড় অর্জন। রফতানি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে খাদ্য, ওষুধসহ বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা আগ্রাসী কিছু করতে চাই না, যেটি ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হবে। তবে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য যা যা দরকার, তার সবই আমরা করছি। ভালো উদ্যোক্তার জন্য ঢাকা ব্যাংকের দরজা সবসময়ই উন্মুক্ত। ঢাকা ব্যাংকের কলেবর বড় করতে আমরা শাখা সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিতে চাই না। বরং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা ও উপশাখার মাধ্যমে আমরা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঢাকা ব্যাংকের সেবা পৌঁছে দিতে চাই। দেশের ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। অথচ ঢাকা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে যায়নি। এর কারণ কী? আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এজেন্ট ব্যাংকিংকে আমরা টেকসই কোনো মডেল মনে করিনি। ব্যাংকগুলো বাজার দখলের প্রতিযোগিতায় গিয়ে অনেক অযোগ্য ও অসৎ লোককেও এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। ফলে এখন এজেন্টদের প্রতারণা ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা গণমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে। এটি দেশের ব্যাংক খাতের প্রতি গণমানুষের আস্থায় চিড় ধরাতে পারে। প্রতারণা ঠেকাতে এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কিত নীতিগুলোর সংস্কার দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে না গিয়ে আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে উপশাখা খুলছি। শাখা খোলার চিন্তাই করিনি, এমন জায়গায় আমরা উপশাখা দিচ্ছি। এরই মধ্যে ঢাকা ব্যাংকের ১৬টি উপশাখা চালু হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই এ সংখ্যা আমরা পঞ্চাশে উন্নীত করতে চাই। প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ঢাকা ব্যাংকের অবস্থা কী? বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত প্রণোদনার পুরোটাই আমরা যথাসময়ে বিতরণ করেছি। রফতানিমুখী শিল্প শ্রমিকদের বেতন-ভাতা হিসেবে দেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার মধ্যে ঢাকা ব্যাংক বিতরণ করেছিল ২১১ কোটি টাকা। এরই মধ্যে বিতরণকৃত এ টাকার বেশির ভাগ ফিরে এসেছে। সিএসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন ভালো। তবে উদ্যোক্তাদের কাগজপত্রের ঘাটতির কারণে যথাসময়ে ঋণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার পরও পুরো প্যাকেজ বাস্তবায়নে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। ঢাকা ব্যাংকের শক্তির জায়গাগুলো কী? ঢাকা ব্যাংক শুরু থেকে তিনটি বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগিয়েছে। এগুলো হলো গুণগত মান নিশ্চিত করে ব্যবসার সম্প্রসারণ, মানবসম্পদের মান ও করপোরেট গভর্ন্যান্স। এ তিনটি মানদণ্ডে কোনো আপস কিংবা ছাড় দেয়া হয়নি। এতে ঢাকা ব্যাংকের ভিত মজবুত হয়েছে। এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশের নিচে। ঢাকা ব্যাংকের গর্বের বড় জায়গা হলো এর মানবসম্পদ। শুরু থেকে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হয়নি। শুরুতে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এখন তারা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ব্যাংকের মানবসম্পদ আন্তর্জাতিক মানের। এছাড়া যোগ্য পরিচালনা পর্ষদ ও ডায়নামিক ব্যবস্থাপনা এ ব্যাংকের অন্যতম শক্তি। বাজারে এ মুহূর্তে মানসম্মত কর্মী পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে। ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে বলুন। ঢাকা ব্যাংকের গর্বের একটি দিক হলো, এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। একঝাঁক সৎ ও সজ্জন ব্যবসায়ীর উদ্যোগে ব্যাংকটির জন্ম। ঢাকা ব্যাংকের উদ্যোক্তারা একত্র হয়েছিলেন দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও ব্যবসায়িক পরিচিতির ভিত্তিতে। শুরুতে যারা উদ্যোক্তা ও পরিচালক ছিলেন, তারা এখনো আছেন। পরিচালনা পর্ষদ নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি আমাদের দিকনির্দেশনা দেন। পরিচালকরা কখনই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপ করেননি। ফলে শুরু থেকেই ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শতভাগ স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পরিচালকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা ব্যাংকের প্রযুক্তিগত সমৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঢাকা ব্যাংক প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগিয়েছে। এ কারণে ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে বাজারে ঢাকা ব্যাংকের সুনামও অনেক। গ্রাহকদের সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে পারাটা তৃপ্তির। আমরা গ্রাহকদের জন্য ‘ঢাকা ব্যাংক গো’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছি। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, এ অ্যাপটি এখন পর্যন্ত বাজারের সেরা। ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকরা ঘরে বসেই সব ধরনের লেনদেন করতে পারছেন। গ্রাহকদের আমরা ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব চালু করার সেবাও দিচ্ছি। চেকের ব্যবহার ছাড়াই ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকরা ঘরে বসে যে কোনো পেমেন্ট দিতে পারছেন। এজন্য ‘ঢাকা ব্যাংক সি-সলিউশন’ চালু করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকদের জন্য ‘ঢাকা ব্যাংক ট্রেড ক্লাউড’, ‘ঢাকা ব্যাংক বিলস-টু-ক্যাশ’, প্রিপেইড কার্ড, ‘ঢাকা ব্যাংক টিউশন ফি সলিউশন’ নামে অনলাইন সেবা চালু রয়েছে। প্রযুক্তি সম্পৃক্ত সব লেনদেনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের সর্বাধুনিক ওরাকল সুপার ক্লাস্টার প্রযুক্তির কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার আপডেট করা হয়েছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবস্থাপনা একটি পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। গ্রাহকদের জন্য চালু করা হয়েছে ‘ভার্চুয়াল কার্ড’। তার পরও মহামারী আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ঢাকা ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকে উন্নীত হতে চায়।
কলকাতায় করোনার ভুয়া ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে শতাধিক বিজেপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ জুলাই) ভুয়া টিকাকাণ্ডের প্রতিবাদ…
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন ঢাকায় চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনি। বিশেষ করে ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার পর থেকে তাকে নিয়ে আলোচনা যেনো থামছেই না। সংসদ থেকে চায়ের দোকান কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সবখানেই পরী, পরী আর পরী।…
Copy Right Text | Design & develop by AmpleThemes