গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে। বিশেষ করে অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্য বিক্রি নিয়ে আলোড়ন তোলে সংস্থাটি। কীভাবে এত ছাড় দেওয়া হয়, সেই কৌশল ক্রেতা বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা কারো কাছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এমন পরিস্থিতিতে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রায় আদালতের অনুমতিক্রমে দুদক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেও।
সে অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়ে অনুসন্ধান করেছে দুদক। এমন পরিস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যেকোনো সময় তাদের ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
জানা গেছে, ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত নভেম্বরে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান চলাকালীন গত ৮ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি আসে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাত পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন আসে। যেটা চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন অনেক তথ্য উপাত্ত জোগাড় করেছে।
ইভ্যালিসহ অন্যান্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার নীতিমালা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, পণ্য সরবরাহের পরই ই-কমার্স সাইট টাকা পাবে। আর অগ্রিম হিসেবে নেওয়া টাকা জমা থাকবে সরকার নির্ধারিত তৃতীয় কোনো পক্ষে। আবার অর্ডার নেয়ার কত দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই জেলার ভেতর অর্ডার পেলে ৫ দিনের মধ্যে আর ভিন্ন জেলা বা গ্রাম এলাকায় পাঠাতে হলে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার শর্ত আরোপের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ১০ দিনের মধ্যে ইভ্যালিকে গ্রাহকদের ২১৪ কোটি টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। রবিবার সংস্থাটি পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়। ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম অর্থ ফেরত বা পণ্য সরবরারহ করতে হবে বলে সংস্থাটি আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন।