করোনায় আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু

করোনায় আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় এ ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৪৮ জন। আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত রোববার দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যেখানে গতকাল এক দিনে ২২৬ জনের মৃত্যু এবং ১২ হাজার ২৩৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৭ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ৪৬৫ জন আর আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত এক দিনে আরটি–পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে ৬২৭টি সক্রিয় ল্যাবে ৪১ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে ১২ হাজার ১৪৮টি। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গতকাল এ হার জানানো হয়েছিল ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে এক দিনে মারা গেছেন ৬৮ জন। আর খুলনা বিভাগে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ জন, রাজশাহীতে ১৪ জন, বরিশালে আটজন, সিলেটে নয়জন, রংপুরে ছয়জন এবং ময়মনসিংহে সাতজন মারা গেছেন।

একদিনে করোনায় মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৭, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ১২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১১৩ জন, আর নারী ৭৪ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে একশ বছরের ওপরে ১ জন, ৯১-১০০ বছর বয়সী ৪ জন, ৮১-৯০ বছর বয়সী ১২ জন, ৭১-৮০ বছর বয়সী ৩০ জন, ৬১-৭০ বছর বয়সী ৫৪ জন, ৫১–৬০ বছর বয়সী ৩৬ জন, ৪১–৫০ বছর বয়সী ৩০ জন, ৩১–৪০ জন বছর বয়সী ১১ জন, ২১–৩০ বছর বয়সী ৭ জন এবং ১১–২০ বছর বয়সী ২ জন মারা গেছেন।

এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৫৩৬ জন রোগী। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত বছরের ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।

স্বাস্থ্য