মন্ত্রিপরিষদে নতুন মুখ আনার জন্য আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় সামান্য রদবদল হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম আজ বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের পদের ও গোপনীয়তার শপথ পাঠ করান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
শপথ গ্রহণের সাথে সাথে এই পদে প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগ কার্যকর হয়।
রাষ্ট্রপতি এর আগে বাংলাদেশ সংবিধানের ধারা-৫৬ (অনুচ্ছেদ-২) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রবেশ করেন।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য সংবিধান ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, ও সুরক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শপথ গ্রহন করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে তিনি পদ এবং গোপনীয়তার শপথও করেছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা টানা তৃতীয়বারের জন্য ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী শপথ গ্রহন করে। পরে, ১৯ মে মন্ত্রিসভায় ছোটখাটো রদবদল করা হয়।
২০১৯ সালের ১৩ জুলাই একজন প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রীর পদে পদোন্নতি দেয়া এবং মন্ত্রিপরিষদে নতুন মুখ আনার জন্য শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এবার ৪৮ সদস্যের মন্ত্রীসভায় এই সামান্য রদবদলের ফলে মন্ত্রিপরিষদে এখন ২৫ জন মন্ত্রী, ২০ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীসহ ৪৯ জন্য সদস্য রয়েছেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ ছাড়া বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
করোনা মহামারীর কারণে বঙ্গভবনে স্বল্প পরিসরে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী এবং প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলম ২০০৯ সাল থেকে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন এবং তার চুক্তি এই বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে।
তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ২০০৯ অবধি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে এবং ১৯৭৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য ড. আলম ২০২০ সালে একুশে পদক পান।