আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেকে কেন্দ্র করে নতুন করে পরিকল্পনা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রচারসহ তৃণমূলের নেতাদের দিকনির্দেশনা দেবে কেন্দ্রীয় নেতারা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সরকার ও দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরা হবে। এছাড়াও সাংসদদের আমলনামা তৈরি হবে। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, সরকারের অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়েছে। এখন যে সময়টুকু আছে তা নির্বাচন প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় বলে আমি মনে করি। সেজন্য নির্বাচনকেন্দ্রিক সাংগঠনিক কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে। এজন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া দরকার তা আওয়ামী লীগ নিচ্ছে। বড় দল হিসেবে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমও অনেক বড়। তাছাড়া টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক কিছুর ব্যাপ্তিও বেড়েছে। এসব দিক চিন্তা করে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হচ্ছে। এজন্য সবার আগে সাংগঠনিক তৎপরতাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তৃণমূল থেকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের যেসব সিনিয়র নেতাদের নানা সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার অংশ হিসেবে দলীয়ভাবে কড়া নজরদারি রাখা হবে এমপিদের ওপর। তৈরি করা হবে তাদের আমলনামা। করোনাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমে দলীয় এমপিদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হবে।
এ ছাড়া দলীয় নেতা ও সহযোগী সংগঠনের আরও অনেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
দলের নেতারা জানান, এবার সংসদ সদস্য পদে দলের ত্যাগী ও তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। এ ছাড়া জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক অ্যাকশনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।