টানা কয়েকদিন ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী দুইদিন সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে এমনও বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। এদিকে স্থানীয় নদী বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপরে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, এ কারণে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সোমবার বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। আগামী দুইদিন উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ধিত পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চল ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিন পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (পুন:) ১ নম্বর সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।