ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিত তারা

ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিত তারা

সংবাদদাতা

নারায়ণগঞ্জ

এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আমিন বাদী হয়ে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এতে মোস্তাকিমসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকি ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার অন্য দুই আসামির নাম টিকেএস হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান আবুল হাসান (৩৮) ও মহাব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন (৩১)। আবুল হাসানের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ডহর শংকর এলাকায়। আর আবদুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি যশোরের চৌগাছা থানার সলুয়া এলাকায়।

মামলায় ভুয়া অনুমতিপত্র বানানো, অবৈধভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো, কর্মী নিয়োগের নামে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ ও পরীক্ষা না করেই বিদেশগামী কোভিড-১৯ পজিটিভ যাত্রীদের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ করা হয়েছে।

এজাহার ও আড়াইহাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টিকেএস হেলথকেয়ারের নামে একটি চক্র রাজধানী ঢাকা থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশে কর্মী নিয়োগ দিচ্ছিল। তারা চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। বেশ কিছুদিন ধরে তারা বিদেশগামী কোভিড পজিটিভ যাত্রীদের টাকার বিনিময়ে ভুয়া নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিচ্ছিল।

বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরে এলে তাদের একটি দল অনুসন্ধান করে আড়াইহাজার এলাকার বেশ কিছু বিদেশগামী যাত্রীর ভুয়া কোভিড সার্টিফিকেট শনাক্ত করে। সেসব সার্টিফিকেটের সূত্র ধরেই মোস্তাকিমের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে আশরাফুল আমিন র‍্যাব-১১ বরাবর অভিযোগ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক তারেক পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মোস্তাকিম নিজেও একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা বেতনে ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হন। তারা সারা দেশেই তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তারের চেষ্টা করছিল। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের করোনা ফোকাল পারসন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জে টিকেএসের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। প্রতারণার শিকার বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন আড়াইহাজারের বাসিন্দা। এমন প্রতারণার বিষয়ে বিদেশগামী যাত্রীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার পক্ষেই কোভিড সার্টিফিকেট বদলের সুযোগ নেই। প্রতিটি কোভিড সার্টিফিকেট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের সেসব তথ্য যাচাই করা হয়।

অপরাধ সারাদেশ