গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৫ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৫ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার  ৪৬ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৭৮০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন।  মৃত ১৯৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৩ জন ও  ৯২ জন নারী।

শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ৭২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৮৮ হাজার ৩২৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২০ হাজার ৫৩৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৮২৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৯ জন, বেসরকারি ৩১ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে পাঁচজন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৭২৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৩০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৬২ হাজার ৭৩৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৬ হাজার ৭৭৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

সারাদেশ স্বাস্থ্য