স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের পরিবারের যেসব সদস্যের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি তারা সবাই করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন।শনিবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সঙ্কট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি শীর্ষক’ এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার আছে; ডাক্তার, নার্স, আর্মি, পুলিশ, নেভি, শিক্ষক-ছাত্র, তাদের আগে টিকা দেয়ার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। তাদের পরিবারের যারা ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে, তাদেরও এর আওতায় নিয়ে আসব। এ সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি আমরা। এখন থেকে এটা কার্যকর। সুরক্ষা অ্যাপসে আমরা এটি দিয়ে দিচ্ছি, সে অনুযায়ী কাজ হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে কমিটি করে দিয়েছি। আগেও কমিটি ছিল, এখন আরো জোরদার করা হয়েছে সেই কমিটি। সেই কমিটি প্রতিটি গ্রামে রোগী খুঁজবে এবং দেখবে সেই অর্ডার করেছি। প্রাথমিক স্টেজেই হাসপাতালে নেয়া লাগলে নেয়ার ব্যবস্থা করবে, সেই নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। কারণ দেরি করে হাসপাতালে এলে মারা যায়, কিছু করার থাকে না।
তিনি বলেন, তাদের আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছি যে, গ্রামের বয়স্ক লোকদের আগে টিকা দিতে হবে। তাদের নিয়ে আসবা টেনে, যারা টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। তাদের টিকা দেয়ার জন্য নিয়ে আসবা, নিয়ে এসে টিকা দিবা। যারা কম বয়সী, তারা পরে নিলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু বয়স্ক লোকরা মৃত্যুঝুঁকিতে আছে। তাদের আগে দিতে হবে।
দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন দেশে সংক্রমণ হার ৬ থেকে ৭ গুন বেড়েছে। এরপরও আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আর মৃত্যুর সংখ্য্যা ১০ গুন বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতেও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আন্তরিকতায় আমরা স্বাস্থ্য সেবা ভালো দিতে পারছি।
সেবার পাশাপাশি টিকাও জরুরি মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, সবার আগে আমরা টিকা পেয়েছিলাম। ভারতের সাথে আমাদের ৩ কোটি টিকার চুক্তি ছিলো। কিন্তু আমরা মাত্র ১ কোটি টিকা পেয়েছি।
ঈদে মানুষ বাড়ি যাওয়ার কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, সামাজিক দূরত্ব মানছে না এবং আমরা সকলকে টিকা দিতে পারছি না, একারণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১ কোটির বেশী টিকা আমাদের হাতে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আরো ৩০ লাখ টিকা আমাদের হাতে আসবে। আর আগষ্টে ফাইজারের টিকা আসবে। সবমিলে আমাদের হাতে ২ কোটি টিকা থাকবে।
আগামী ২৬ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে সিনোফার্মের আরো ৩০ লাখ টিকা দেশে আসবে বলেও জানান মন্ত্রী।