নিজস্ব প্রতিবেদক
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীর একজন উচ্চাভিলাষী মহিলা। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিয়ে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতেন। মাদক আইন ছাড়াও বন্যপ্রাণী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে র্যাব আটক করে। পরে মিরপুরে হেলেনার মালিকানাধীন জয়যাত্রা আইপিটিভির কার্যালয় এবং জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ভবনেও অভিযান চলে।
রাতের অভিযান শেষে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ জানিয়েছিলেন, তার বাসায় মদ, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো বোর্ড, ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। মিরপুরে জয়যাত্রা আইপি টিভি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ভবনেও অভিযানের পর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ জানিয়েছিলেন, জয়যাত্রা টিভির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকালে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তারা গুলশান থানায় হস্তান্তর করছে।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার। জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন হেলেনা নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতি হওয়ার খবর সামনে এলে সম্প্রতি তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।
হেলেনা এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কুমিল্লায় আব্দুল মতিন খসরুর আসনে উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতেও চেয়েছিলেন তিনি। তবে কোনোবারই তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।