সানাউল হক সানী
চটকদার অফার, নিবন্ধন করলেই বেকারত্ব শেষ। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা, লাইক দেওয়া আর অন্যকে কোম্পানির সদস্য হিসেবে নিবন্ধন করতে পারলেই মিলবে টাকা। প্রথম দিকে নিবন্ধন ফি কম থাকলেও বিশ^স্ততা অর্জনের পর বড় অঙ্কের অফার ঘোষণা করা হয়। বেশি লাভের আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন সদস্যরা। কোনো কোনো গ্রাহকের ১০টিরও বেশি নিবন্ধন আইডি রয়েছে। পাঁচশ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছেন প্রায় ১২ লাখ গ্রাহক। বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়ার পরই ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইটসহ সবকিছু স্থায়ীভাবে বন্ধ করে লাপাত্তা হয় এসব কোম্পানি। আমাদের সময়ের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহেই অন্তত ৭টি কোম্পানি বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের প্রায় তিনশ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। প্রতারণার শিকারদের বেশিরভাগই কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। লকডাউনের মধ্যে কিছুটা আয়ের আশায় এসব অনলাইন এমএলএম কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ভুক্তভোগীরা এখন হা-হুতাশ করছেন।
ইনসাফ সেভেন কোম্পানির মালিক হাসান মাহমুদ। পরিচিত রাকিব উদ্দিন মোড়ল নামেও। গত আট মাসে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করেছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিনিয়োগকারী। তিনটি ওয়েবসাইট, বেশকিছু ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ খুলে প্রচার চালানো হয় কোম্পানির। দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার প্যাকেজ রয়েছে। একেকজন গ্রাহকের একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারিত গ্রাহকরা বলছেন। বিস্তারিত