কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ফলে জেলার ৯টি উপজেলার দুই শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বিকেলে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তিস্তার পানিও ছুঁই ছুঁই করছে বিপৎসীমা।
এদিকে, পানিবন্দি মানুষের অনেকেই উঁচুস্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে সদর উপজেলার হলোখানার সারডোব, কালুয়ার চরসহ কয়েকটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
সারডোব এলাকার বাসিন্দা একরামুল হক জানান, গত বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০০ মিটার অংশ ভেঙে ঘরবাড়ি বিলীন ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার বাঁধটি মেরামত করা হলেও ভাঙনের শঙ্কা কাটেনি। বাঁধটি ভাঙলে এলাকাবাসী আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
চর সারডোব গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জু বেগম বলেন, ‘নদীর উপরা বাড়ি। বাড়িত পানি উঠছে। ঘরোত খাবার নাই, কাজও নাই। পাকসাক করব্যার পাই না। ছাগল চড়াই নিয়া খুব অসুবিধাত আছি।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য ১২ লাখ টাকা ২৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।