- আস্থার সঙ্কটে ই-কমার্স
- নানামুখী প্রতারণা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে
- একযোগে কাজ করছে সরকারের নয় সংস্থা
রহিম শেখ ॥ বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সঙ্কটে। সম্প্রতি খুব অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতসহ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে সরকারের অন্তত ৯ সংস্থা। এরমধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাবের লেনদেন পর্যালোচনা করে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার হদিস পাননি মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দুই এ্যাকাউন্টে এখন সব মিলিয়ে জমা আছে ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির ২ লাখ গ্রাহকের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা বলে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া পণ্য সরবরাহ ও অন্যান্য ব্যবসায়িক পাওনাদারের ২০০ কোটি টাকার মতো পাওনা রয়েছে। ইভ্যালি যেসব গ্রাহককে রিফান্ড চেক দিয়েছে, ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় সেগুলোও বাউন্স হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ইভ্যালির নথি চেয়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিকে ৬০০ ব্যবসায়ীকে ১০ দিনের মধ্যে মূল্য পরিশোধের কথা দিলেও ছয় মাসেও ২০০ কোটি টাকা ফেরত দেয়নি ধামাকা শপিং। এছাড়া দালাল প্লাস, আদিয়ান মার্ট, শ্রেষ্ঠ ডটকম, আলাদীনের প্রদীপ, কিউকম, ফাল্গুনী শপ এবং বুমবুমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। সব মিলিয়ে গত দেড় বছরে এসব কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় হদিস নেই অন্তত এক হাজার কোটি টাকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল ডিসকাউন্টের বিতর্কিত মডেলের ব্যবসা, ক্রেতার সচেতনতার অভাব, তদারকিতে ঘাটতিসহ নানা কারণ এ খাতে অস্থিরতার জন্য দায়ী।বিস্তারিত