জামাল উদ্দীন
‘ঋণগ্রহীতার কাছে ব্যাংকারের প্রশ্ন—টাকা ফেরত দেবেন, নাকি অন্য মতলব আছে? ফেরত দিলে এক রকম, না দিলে অন্যরকম।’—এটি একসময়কার ব্যাংকিং খাতের প্রচলিত গল্প। তারপর নানা সংস্কার, নানা কিছু। সরকারি ব্যাংকের বদলে বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব। এখন অর্ধশতর বেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকই রয়েছে। সিংহ ভাগই বেসরকারি। সংখ্যায় ৪৩টি। কিন্তু শৃঙ্খলা কি ফিরেছে, প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে। শুরুর গল্পের রূপান্তর ঘটেছে, কিন্তু বাস্তবতা খুব বদলায়নি—এমনটি মনে করেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোও।
পরিস্থিতি এমন যে, বেসরকারি ব্যাংকে কোনো কোনো পরিচালককে টাকা না দিলে ঋণ পাওয়া যায় না। করোনাকালীন প্রণোদনা ইস্যুতে যেমন ‘খাতিরের’ কিংবা ‘প্রভাবশালী’রাই প্রাধান্য পেয়েছে। তেমনি প্রণোদনার ঋণ পেতে ঘুষ দাবির তথ্যও উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। প্রণোদনার ঋণ-সাশ্রয়ী, তাই হয়তো বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কিন্তু সাধারণ সময়েও ঋণ নিতে হলে পরিচালকদের খুশি করতে হয়। ‘পরিচালকরা ঋণের টাকায় ভাগ চায়।’
বিষয়টি নিয়ে কোনো কোনো উদ্যোক্তা বলেছেন, ঋণ প্রস্তাব ব্যাংকের কাছে দেওয়ার পরই ব্যাংকাররা প্রস্তাব করেন পরিচালকদের টাকা দিতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালক নিজেই টাকা দাবি করেন। সেটিও কৌশলে। নিজেদের নাম প্রকাশ করলে সমস্যা হতে পারে, সে চিন্তাও উদ্যোক্তাদের আছে।বিস্তারিত