প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মোট ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন।
আজ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)’র একজন পরিচালক (পাবলিক রিলেশন্স) বাসসকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১০টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন করবেন।’ তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাঁচটি হচ্ছে- হবিগঞ্জের জুলদায় বিবিয়ানা-৩ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উত্তরণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হল থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান, জ্বালানী বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)’র চেয়ারম্যান এবং গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত থাকবেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০০৯ সালে কাজ শুরুর পর সরকার সফলভাবেই ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ১১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছিল। তবে এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
বাসসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে- যা ২০০৯ সালে ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বে আমরা ৯৯.৫ শতাংশ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে।