নতুন কৌশলে প্রতারণা ॥ ডেসটিনি টু ইভ্যালি

নতুন কৌশলে প্রতারণা ॥ ডেসটিনি টু ইভ্যালি

  • দেড় দশকে পুঁজি খুইয়েছেন লাখ লাখ মানুষ
  • বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার, মামলা হলেও নিষ্পত্তি নেই
  • আসামিরা আত্মগোপনে, কেউ কেউ পালিয়ে গেছেন
  • কেউ কেউ দীর্ঘদিন যাবত কারাবন্দী

রহিম শেখ ॥ বহু স্তর বিপণন (এমএলএম) পদ্ধতির ব্যবসার নাম করে দেশে একযুগ ধরে ব্যবসা করেছে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা সুকৌশলে জনগণের কাছ থেকে ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাত করেন। এর মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা পাচারও করেন তারা। ২০১২ সালে ডেসটিনি বন্ধ হলেও প্রতিষ্ঠানটির ৪৫ লাখ গ্রাহকের কেউই এ পর্যন্ত কোন টাকা ফেরত পাননি। ডেসটিনির আদলে পরবর্তী সময়ে যুবক, ইউনি পে টুসহ একের পর এক এমএলএম কোম্পানি গড়ে ওঠে। এর মধ্যে ২০০৬ সালে যুবক ২ হাজার ৬০০ কোটি, ২০১১ সালে ইউনিপে টু ইউ ৬ হাজার কোটি আত্মসাত করে উধাও হয়ে যায়। তবুও থেমে থাকেনি এই পদ্ধতিতে প্রতারণা। এখন বদলেছে প্রতারণার ধরন। অনেক প্রতারণামূলক স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করে পুঁজি খুইয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। হালের আলোচিত ই-কমার্স ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, এসপিসি ওয়ার্ল্ড, নিরাপদডটকমসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা। শুধু গ্রাহকই নয়, মার্চেন্টদের থেকে পণ্য এনে সেই টাকাও পরিশোধ করেনি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। অভিযোগ উঠেছে অর্থপাচারেরও। এছাড়া রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন সমবায় সমিতির নামে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে উধাও হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সময়ে ২৬৬টি সমবায় সমিতির গ্রাহকদের ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, যুবকের ঘটনায় গঠন করা কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্ত, সমবায় অধিদফতর ও গ্রাহকদের দেয়া তথ্যমতে, গত দেড় দশকে অন্তত তিন শতাধিক কোম্পানি গ্রাহকের ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। এসব ঘটনায় বহু মামলা হয়েছে। কোন কোন ঘটনায় আসামিরা আত্মগোপন করেছেন। কোন কোন মামলায় আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে কারাবাসও করছেন। কিন্তু গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাননি। কবে নাগাদ কষ্টের জমানো টাকা পাবেন তাও কেউ জানেনা।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য তথ্য প্রুযুক্তি