তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ সংবিধানের তোয়াক্কা করেন না। তিনি রাষ্ট্রযন্ত্রের সব ক্ষমতা নিজের হাতে কুক্ষিগত করেছেন। ঘোষণা দিয়েছেন, ডিক্রি জারির মধ্য দিয়ে দেশ চালাবেন। এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশের জনগণ। তারা তার পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল করে তুলেছে রাজধানী তিউনিস।
রবিবার তারা হাবিব বুরগুইবা এভিনিউসহ তিউনিসের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে সমবেত হন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রাস করাকে অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করে তারা স্লোগান দেন, জনগণ অভ্যুত্থানের পতন চায়।
২০১৪ সালে দেশটিতে যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, তার বেশির ভাগই তিনি পাশ কেটে রেখে দিয়েছেন। গত বুধবার তিনি সংবিধানকে উপেক্ষা করে ডিক্রির মাধ্যমে দেশ শাসন করার ঘোষণা দেন। এর দুই মাস আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। স্থগিত করেন পার্লামেন্ট এবং প্রচলন করেন নির্বাহী কর্তৃত্বের। তার এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আইকনিক ন্যাশনাল থিয়েটারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
গত ২৫ শে জুলাই সরকারকে বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। তারপর রবিবার দ্বিতীয়বারের মতো বিক্ষোভ হলো।
সূত্র : আল-জাজিরা