সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের ভেন্যুতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই আইপিএলকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে বললেও আমিরাত পর্বের আইপিএলে এখনো মাঠেই নামতে পারলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তাকে রীতিমতো অবহেলা করছে কলকাতা টিম ম্যানেজমেন্ট। অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের ইনজুরির পর সবার ধারণা ছিল এবার নাইট একাদশে ঠাঁই হবে সাকিবের। কিন্তু তাতো হলোই না, দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রাসেলের জায়গায় কিউই পেসার টিম সাউদিকে নেয় কলকাতা।
পরের ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ফার্গুসনের বদলে দলে আসেন আরেক কিউই তারকা টিম সেইফার্ট।
কিন্তু তাতে লাভ তো হলোই না, উল্টো ৫ উইকেটে হেরে প্লে-অফের পথ কঠিন করে ফেলল কলকাতা।
সাকিবের মতো অলরাউন্ডারকে ডাগআউটে বসিয়ে কেন কলকাতা একের পর এক হারের মুখ দেখছে? – সেই প্রশ্ন উঠেছে ইতোমধ্যে।
এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে কলকাতা দলের কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম জানালেন, কেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে সাকিববে না নিয়ে সেইফার্টকে নেওয়া হলো।
ম্যাকালাম বলেন, ‘সাকিবকে দলে নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল অবশ্য। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া ক্যারিবীয়ান লিগে সেইফার্ট ব্যাট হাতে দারুণ খেলেছে। তার সেই ছন্দ অস্বীকার করা কঠিন। আগের ম্যাচে মনে হয়েছিল একজন ব্যাটার কম রয়েছে দলে। সেই জন্য দলে একজন অতিরিক্ত ব্যাটার খেলানো হয়েছে পরের ম্যাচে।’
এরপর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ টানেন ম্যাককালাম। বলেন, ‘দলে আন্দ্রে রাসেলের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটার যখন থাকে না, তখন ভারসাম্য নষ্ট হবেই। দলে যখন একজন বড় মাপের অলরাউন্ডার খেলতে পারে না তখন ব্যাটিং বা বোলিং কোনও একটা বেশি শক্তিশালী করে খেলতে হয়।’
সে কারণেই টিম সেইফার্টকে নেওয়া বলে জানালেন ম্যাককালাম। আর সেই সেইফার্ট ৪ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যান।
সাকিব আল হাসানও বিশ্বমানের অলরাউন্ডার। তবে তাকে বসিয়ে রাখা কেন?
সে প্রসঙ্গ এড়িয়েই ম্যাককালাম সাকিবের ভূয়সী প্রশংসাই করলেন। জানালেন, পরের ম্যাচে সাকিবকে দেখা যেতে পারে একাদশে।
ম্যাককালাম বললেন, ‘সাকিব যে ধরনের ক্রিকেটার, ওকে দলে নেওয়ার কথা সব সময় ভাবা হয়। আলোচনা হয়। সাকিবকে আমরা প্রথম তিনে ব্যাট করাতে চাই। এর মানে এটা নয় যে ও পরের দিকে ব্যাট করতে পারে না। পরের ম্যাচে সাকিব খেলতেই পারে।’
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা