নিবন্ধিত ৪৪ কোটি মোবাইল ফোনসেটের ৫ কোটি অবৈধ অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি করলে মূল্য ফেরত পাবেন ক্রেতা

নিবন্ধিত ৪৪ কোটি মোবাইল ফোনসেটের ৫ কোটি অবৈধ অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি করলে মূল্য ফেরত পাবেন ক্রেতা

বিটিআরসির ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারে (এনইআইআর) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ১২ শতাংশই অবৈধ সেট। অর্থাত্ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি অবৈধ মোবাইল ফোনসেট এতদিন মানুষের হাতে ছিল। এই অবৈধ সেটগুলোও ইতিমধ্যে নিবন্ধিত হয়ে গেছে।

গত ১ অক্টোবর থেকে আর কোনো অবৈধ সেট নিবন্ধিত হবে না। বিটিআরসি বলছে, নিবন্ধিত মোবাইল ফোনসেটের মধ্যে সাড়ে ২২ কোটি মোবাইল সেট বর্তমানে নেটওয়ার্কে সচল রয়েছে। এদিকে বিটিআরসি নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো ক্রেতা যদি অবৈধ মোবাইল ফোনসেট কেনেন এবং তার রসিদ থাকে তাহলে বিক্রেতাকে এর মূল্য ফেরত দিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ক্রেতা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি।

বিটিআরসি জানিয়েছে, গত তিন মাসে এনইআইআরে ১ কোটি ৮ লাখের মতো মোবাইল ফোনসেট যুক্ত হয়েছে। এর ২৯ শতাংশই অবৈধ সেট। অর্থাত্ সাড়ে ৩১ কোটি মোবাইল ফোনসেটই অবৈধ। বিটিআরসি বলছে, এ পর্যন্ত যে সেটগুলো সংযুক্ত হয়েছে এর মধ্যে অন্তত ১২ শতাংশ অবৈধ সেট।

যা ইতিমধ্যে নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। এগুলো আর বাতিল হবে না। তবে নতুন করে কোনো অবৈধ সেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না। গত ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এর মধ্যে বৈধ কিংবা অবৈধ—গ্রাহকের হাতে মোবাইল নেটওয়ার্কে সচল থাকা সব হ্যান্ডসেট ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিটিআরসির ‘নক অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেইজ (এনএআইডি)’ সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। ফলে এই সময়ে নিবন্ধিত হওয়া এসব হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

আপনার মোবাইল ফোনটি বৈধ কি না, যাচাই করবেন যেভাবে

এদিকে অবৈধ মোবাইল বিক্রি করলে বিক্রেতাকে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মূল্য ফেরত দিতে হবে। জেনে বা না জেনে কোনো ক্রেতা যদি অবৈধ মোবাইল ফোন কিনে ফেলেন এবং পরবর্তী সময় ক্রেতা যদি সেই মোবাইলের পরিশোধিত মূল্য ফেরত চান তাহলে বিক্রেতাকে মূল্য অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসি এই নির্দেশনা জারি করেছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি আরো বলছে, অবৈধ হ্যান্ডসেট উত্পাদন, আমদানি, ক্রয়, বিক্রয় করলে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৈধ কিংবা অবৈধ, গ্রাহকের হাতে মোবাইল নেটওয়ার্কে সচল থাকা সব হ্যান্ডসেট ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে গেছে। ফলে এই সময়ে নিবন্ধিত হওয়া এসব হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না। তবে ১ অক্টোবর থেকে নতুনভাবে সংযুক্ত সব অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

তথ্য প্রুযুক্তি