নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালুর আগে সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এ ছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব, আমরা আলোচনা করেছি আগামী বছর থেকে কোনো অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃঙ্খলা আসবে।’
এক হাজার ৩০০ এর বেশি পত্রিকার ডিক্লারেশন নেওয়া আছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ৪০০ পত্রিকাকে চিহ্নিত করেছি ছাপা হয় না, হঠাৎ হঠাৎ ছাপা হয়। সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব পত্রিকা বিজ্ঞাপন ও নিউজ প্রিন্টে ভাগ বসাচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকরা উপকৃত হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিছু পত্রিকা হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, যেদিন ক্রোড়পত্র পায় সেদিন বের হয়। এসব পত্রিকার সম্পাদক যিনি, তিনিই রিপোর্টার, তিনিই প্রকাশক, তাঁর একটা ব্রিফকেস আছে, পত্রিকাও ব্রিফকেসবন্দী; ব্রিফকেসে করে করে সেই পত্রিকা অফিসে অফিসে বিলি করে বেড়ায়। আমরা এগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ২১০ টির ব্যাপারে ডিসিদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। আরও ২০০ এর বেশি আছে। সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, ধীরে ধীরে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার প্রচার সংখ্যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এখ লাখ প্রচার সংখ্যা বলা আছে, ছাপায় পাঁচ হাজার। এক লাখ ২০ হাজার প্রচার সংখ্যা বলে, ছাপায় দুই হাজার। আমরা সেখানেও একটি শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এ রকম অবাস্তব, ভৌতিক প্রচার সংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে থাকবে সেটি হয় না। সেখানেও একটা শৃঙ্খলা আমরা আনার চেষ্টা করছি।