সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য কক্সবাজারে রক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই বরাদ্দের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে চার সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, ভূমি সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের বিরুদ্ধে এই রুল জারি করা হয়।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
৭০০ একর বনভূমি প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ’ শিরোনামে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে ‘রক্ষিত বনভূমির’ ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ওই এলাকা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন। বন বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে। বন বিভাগের দাবি, এই জমি তাদের।
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ৭০০ একর ভূমি বরাদ্দ-ইজারা না দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর গত সপ্তাহে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর যুগান্তরকে বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ৭০০ একর জায়গা প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ বা ইজারার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।