দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাঙমাটির কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মধ্যরাত অজ্ঞাত পরিচয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এলোপাতারী গুলিতে খুন হয়েছেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনিত ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমা (৫৬)।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেথোয়াই মারমাকে তাঁর নিজ বাড়ী একই ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে সবুজ গেঞ্জি পরিহিত ১০ থেকে ১২ জন সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে বাড়ীতে ঢুকে এলোপাতারী গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরে ৩টি গুলি লাগে বলে জানান ওসি।
এদিকে ঘটনার খবর পাবার পর পরই রাতে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এবং বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। চন্দ্রঘোনা থানা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানান, রবিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি জানান, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই নিয়ে এখনো কেউ থানায় মামলা দায়ের করেন নাই।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, নিহত নেথোয়াই মারমার ছেলে রাতে তাঁকে খবর দিয়ে জানান যে, সবুজ গেঞ্জি পরিহিত ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ঘরের সামনে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে না পেরে পেছনের রান্না ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাঁর বাবাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ২ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেথোয়াই মারমা চিৎমরম বাজার সংলগ্ন রেস্ট হাউসে অবস্থান করে আসছিলেন। গত শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে যান। আগে থেকেই উঁৎ পেতে থাকা সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এই হত্যাকান্ডের পর সমগ্র চিৎমরম এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।