রোববার (১৭ অক্টোবর) থেকে সে দেশে জন পরিসরে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম তুলে নিয়েছে সৌদি প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ সে দেশে কমে যাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
মক্কার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রোববার থেকেই পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে নামাজের প্রস্ততি শুরু হচ্ছে। কাবা শরীফে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী মুসল্লি জমায়েত হবেন। সে ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কারো দূরত্ব বজায় রাখতে হবে না।
এদিন করোনাকালে বিধিনিষেধ পালনের প্রায় দুই বছর পর পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে অনুষ্ঠিত ফজরের নামাজে কাতারগুলো ছিল মুসল্লিতে ভরপুর।
আরব নিউজের খবরে জানা যায়, আজ থেকে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করা স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে নামাজ শুরু হয়েছে। তবে মুসল্লিদের ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে ‘তাওক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে নামাজ, ওমরাহ ও জিয়ারতের অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া মসজিদের ভেতর সব সময় সব স্থানে মুসল্লি ও কর্মীদের আগের মতোই মাস্ক পরতে হবে।
এদিকে দীর্ঘ দুই বছর পর কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ শুরুর আগে ইমামকে ঘোষণা করতে শোনা যায়, ‘দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করুন, খালি স্থান পূরণ করুন।’ করোনাকালের সামাজিক দূরত্ব থাকায় দীর্ঘদিন যাবত এসব ঘোষণা শোনা যায়নি ইমামদের মুখে। অনেক দিন পর আজ কাবার ইমাম শায়খ ড. বান্দার বালিলাহ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খালি স্থান পূরণ করে দাঁড়াতে বলেন। কাবা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের সামাজিক দূরত্বের সব চিহ্ন তুলে নেওয়া হয়।
খবরে আরো জানা যায়, ঘরের বাইরে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবশ্যিকতা তুলে নেওয়া হয়। এছাড়াও বিবাহের হল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন কেন্দ্র ও সিনেমা হলে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মাধ্যমে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিকে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান ও টিকার ডোজ পরিপূর্ণ করার শর্ত আগের মতো বহাল থাকবে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে প্রবেশ করা যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিস্থিতির অগ্রগতি হওয়ায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারির দীর্ঘ দেড় বছর পর তা শিথিল করল সৌদি আরব। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর কারফিউ জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল।