সংগীতের সঙ্গে জুড়ে আমাদের হৃৎস্পন্দন

সংগীতের সঙ্গে জুড়ে আমাদের হৃৎস্পন্দন

আমাদের জগৎ নানারকমের সুরের মূর্ছনায় ভরা। তার মধ্যে কোনোটি শ্রুতিমধুর, কোনোটি আবার নয়। গবেষকরা বলছেন আমাদের জীবনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে সংগীত। কারণ আমরা যে ধরনের গান শুনি তার উপর নির্ভর করে আমাদের হৃদস্পন্দন পরিবর্তিত হয়। এই সংগীতের সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের সরাসরি যোগসাজশ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের এক বিশেষ নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনের নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের শারীরিক ও মানসিক কষ্ট অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে। তাই মিউজিক থেরাপি-কে এখন অনেকটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ভারতবর্ষ, মিশর, চিন, গ্রিস আর রোমে সভ্যতার শুরুতে সুরের সাহায্যে অসুখ সারানো হত।

কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বহু দিন তা ধামাচাপা পড়ে ছিল।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে চিকিৎসকেরা আহত সৈন্যদের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে মৃদু লয়ের গান-বাজনা ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য ফল পান। তাই কেবল ভাষা শেখার জন্যই নয়, স্মৃতিশক্তির উন্নতি এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পাশাপাশি শারীরিক সমন্বয় ও বিকাশের জন্যও সংগীতের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতালির পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন , মিউজিক আমাদের চিন্তা শক্তিকে শিথিল করে এবং অন্তরাত্মাকে হালকা করে।মিউজিক থেরাপির বিশেষজ্ঞদের মতে সুরের জাদুতে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের বাড়বাড়ন্তকে আটকে দেওয়া যায়। মনে করুন যখন আপনার শরীর খারাপ লাগছে সেই সময় জোরে গান বাজানো হয় তখন আপনার শরীরে বিপরীত প্রভাব তৈরি করবে। অজানা, উচ্চস্বরে এবং অপ্রীতিকর গান আরামের পরিবর্তে, এটি আপনাকে বিরক্ত করবে। ধীর এবং প্রশান্তি সঙ্গীত শুনলে আপনি স্বস্তি এবং সতেজ বোধ করবেন। মিউজিকের মাধ্যামে কী কী সুফল পাওয়া যায়-

নির্দিষ্ট কিছু সুর শোনালে রোগীর মন শান্ত হয়, কমে উদ্বেগ

হৃদপিণ্ডের অতিরিক্ত স্পন্দন কমতে শুরু করে

মাথার যন্ত্রণা, বুকে অস্বস্তি কমে

হজমের অসুবিধা ও পেটের সমস্যা চলে যায়

রাগ চলে গিয়ে মন ভালো থাকে

ডিপ্রেশন ও অকারণ মন খারাপ চলে যায়

ভাল ঘুম হয়

শ্বাসপ্রশ্বাস ক্রমশ স্বাভাবিক হতে শুরু করে

তাই সংগীত আমাদের জন্য অনিবার্যভাবে উপকারী হতে পারে যদি আমরা জানি যে কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের সঙ্গীত শোনা উচিত।কারণ সঙ্গীত শুধু বিনোদনের উৎস নয়, এটি আমাদের শরীর ও হৃদয়ের কল্যাণেরও উৎস।

সূত্র : mindblowing-facts

বিনোদন