রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু পাড়ায় সহিংসতার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে র্যা বের হাতে গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মণ্ডল ও মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে দুইজনেই এ জবানবন্দি দেন। পরে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধক মো. শহিদুর রহমান।
এদিকে হিন্দুপল্লিতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে থাকা ৩৭ আসামিকে বিকালে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় শুনানি শেষে তাদেরও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
তবে আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন একাধিক আইনজীবী। আদালত সেই সব জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজন হলে আবারো রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
সৈকত মণ্ডলের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন জানান, র্যা বের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামি সৈকতকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সুদীপ্ত শাহীন জানান, মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় আদালতে তোলা হলে তিনিও স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতকে জানিয়েছেন।
১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ঘটনায় পীরগঞ্জের রামনাথপুর উত্তরপাড়া হিন্দুপল্লিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। একটি অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা। রোববার পর্যন্ত এই চার মামলায় ৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান।