নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ওসিসহ ৫ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ

নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ওসিসহ ৫ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপেই বিনা ভোটে জয় পেয়েছেন ১৫৩ চেয়ারম্যান। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানাতে পারেনি ইসি। দুই ধাপের এক হাজার ২১০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করবে। তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. ছহুল হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী। নির্বাচনকে তারা উৎসব হিসাবে নেন। আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন একেবারে তৃণমূলের হওয়ায় সেখানে প্রার্থী সংখ্যাও বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক এলাকাতেই প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে থাকছেন না, আবার কোথাও কোথাও একজনের বেশি প্রার্থী হচ্ছেন না। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে না। এ বিষয়টি দেশের নীতি-নির্ধারকদের ভাবতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূলনীতি হচ্ছে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। সেটি না থাকাটা গণতন্ত্রের জন্য সুখবর নয়।

তবে নির্বাচন কমিশন মনে করছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না। ২১ জুন প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছিলেন, তিন কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হচ্ছে। প্রথমত, একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা নিয়ম না মানলে মনোনয়নপত্র বাতিল হবে এবং তৃতীয়ত, যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে। এসব কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বাড়ছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত তিন ধাপে ২ হাজার ১৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপের এক হাজার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ না হওয়ায় এ ধাপের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীর সংখ্যা পাওয়া যায়নি। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট হবে। বুধবার দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে। এ ধাপে ৮১ জন চেয়ারম্যানসহ ৩৬০ জন জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যানেরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের মধ্যে সংরক্ষিত সদস্য ৭৬ জন ও সাধারণ সদস্য ২০৩ জন রয়েছেন। এর আগে ২০ সেপ্টম্বর ও ২১ জুন প্রথম ধাপের ৩৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ধাপে ৭২ চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়ী হন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

রাজনীতি