মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পের অডিও, ভিডিও কপিরাইটের জন্য আর্কাইভে সংরক্ষণের কন্ডিশন এখানে দেয়া হয়েছে। তা না হলে অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। ডিজিটাল ফিল্ম আর্কাইভে তারা এগুলো সংরক্ষণ করবে। ৬০ বছর পর কপিরাইট ওপেন হয়ে যাবে।’
প্রথম প্রকাশের পরবর্তী ৬০ বছর পর্যন্ত স্বত্বের বিধান রেখে কপিরাইট আইন-২০২১-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে নতুন কিছু সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে যেগুলো আগে ছিল না। যেমন অনেকে ছদ্মনামে গান গায়, ছদ্মনামে কপিরাইট আছে। এগুলো নিয়ে আগে ঝামেলা হতো।’
‘ডাটাবেজ আগে কপিরাইটের মধ্যে ছিল না। সেটিকেও এখন কপিরাইটের মধ্যে ঢোকানো হয়েছে। নৈতিক অধিকার, পাবলিক ডোমেইন, ফোনোগ্রাম প্রডিউসার এই প্রযুক্তিগুলো আগে ছিল না।’
সচিব বলেন, ‘কপিরাইটের বিষয়ে যেটা বলা হয়েছে, প্রথম প্রকাশের পর ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট থাকবে। স্বত্বাধিকারী যদি মারাও যান, তাহলেও ৬০ বছর পর্যন্ত তিনি স্বত্ব পাবেন। অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কপিরাইট রেজিস্টারকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। লোকগান ও লোকসংস্কৃতি রক্ষায় একটি নতুন কথা এখানে ঢোকানো হয়েছে, যেটা আগে ছিল না।’
‘শাস্তি ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এখানে। প্রস্তাবিত আইনে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পড়ার উপযোগী করে বই প্রকাশ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে এটা খুব ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পের অডিও, ভিডিও কপিরাইটের জন্য আর্কাইভে সংরক্ষণের কন্ডিশন এখানে দেয়া হয়েছে। তা না হলে অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। ডিজিটাল ফিল্ম আর্কাইভে তারা এগুলো সংরক্ষণ করবে।’
‘৬০ বছর পর কপিরাইট ওপেন হয়ে যাবে। সবাই ব্যবহার করতে পারবে। অনেকগুলো বিষয়ে শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। যেমন: অনূর্ধ্ব দুই লাখ টাকা বা দুই বছরের কারাদণ্ড যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কপিরাইট রয়েছে এমন কোনো কাজের অনুলিপি তৈরি করেন।’